অনলাইন ডেস্ক: হজ-ওমরা এ দুটি ইবাদাতের যে কোনোটির জন্যই আদায়কারীর নিয়ত করা জরুরি। এ নিয়ত মৌখিক উচ্চারণে করা শরিয়ত সম্মত। এখানে ওমরা ও হজের নিয়ত তুলে ধরা হলো-
যারা ওমরা করবেন: নির্ধারিত মিকাত থেকে (সম্ভব হলে) গোসল করে অথবা অজু করে পুরুষরা সেলাইবিহীন ২টি কাপড় পরবে। আর নারীরা পর্দাসহ শালীন পোশাক পরবে। এরপর ২ রাকাত নামাজ পড়ে ওমরার নিয়ত করে নেবে-
اَللَّهُمَّ اِنِّي اُرِيْدُ العُمْرَةَ فَيَسِّرْهُ لِيْ وَ تَقَبَّلْهُ مِنِّي
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি উরিদুল উমরাতা ফাইয়াসসিরহু লি ওয়া তাকাব্বালহু মিন্নি’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি ওমরার ইচ্ছা করছি; আপনি আমার জন্য তা সহজ করে দিন এবং আমার পক্ষ থেকে তা কবুল করুন।’
অথবা এভাবেও ওমরার নিয়ত করা যাবে
لَبَّيِكْ عُمْرَةً – اَللَّهُمَّ لَبَّيِكْ عُمْرَةً
উচ্চারণ : ‘লাব্বাইক ওমরাতান’ অথবা ‘আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ওমরাতান’
যারা হজ করবেন: নির্ধারিত মিকাত থেকে (সম্ভব হলে) গোসল করে অথবা অজু করে পুরুষরা সেলাইবিহীন ২টি কাপড় পরবে। আর নারীরা পর্দাসহ শালীন পোশাক পরবে। এরপর ২ রাকাত নামাজ পড়ে হজের নিয়ত করে নেবে-
اَللَّهُمَّ اِنِّي اُرِيْدُ الْحَخَّ فَيَسِّرْهُ لِيْ وَ تَقَبَّلْهُ مِنِّي
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি উরিদুল হাজ্জা ফাইয়াসসিরহু লি ওয়া তাকাব্বালহু মিন্নি’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি হজের ইচ্ছা করছি; আপনি আমার জন্য তা সহজ করে দিন এবং আমার পক্ষ থেকে তা কবুল করুন।’
অথবা এভাবেও হজের নিয়ত করা যাবে-
لَبَّيِكْ حَجًّ – اَللَّهُمَّ لَبَّيِكْ حَجًّ
উচ্চারণ : ‘লাব্বাইক হাজ্জান’ অথবা ‘আল্লাহুম্মা লাব্বাইক হাজ্জান’
নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এভাবেই নিয়ত করেছেন। যারা হজ বা ওমরার উদ্দেশ্যে ইহরাম বেঁধে বের হবেন, তাঁরা গাড়ি বা বিমান বা অন্য যে কোনো বাহনেই থাকেন; ইহরামের পর বাহনে আরোহনের সময়ই উল্লিখিত নিয়তের শব্দ সমূহ মুখে উচ্চারণ করা উত্তম।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হজ ও ওমরার ইবাদাতে নিয়ত উচ্চারণ করে সুন্নাত আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
মতিহার বার্তা/এমআরটি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.